জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ বা কে কে মারা গেছেন। কলকাতায় একটি গানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। শো চলাকালীন বারবার বলছিলেন যে, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। গরম লাগার কথাও জানান তিনি।
অসুস্থ বোধ করায় ফিরে যান হোটেলে। সেখানেও অসুস্থ বোধ করেন। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মালয়ালি গান শুনে কে কে-র সঙ্গীত জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর মায়ের । যা রেকর্ড করেছিলেন তাঁর নানা। স্কুল জীবনে ‘শোলে’ ছবির ‘মেহবুবা’ গানটি শুনতে খুব পছন্দ করতেন তিনি। খুব অল্প বয়স থেকেই স্টেজে পারফর্ম করা শুরু করেন।
জানা যায়, তিনি যখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তেন, তখন তিনি প্রথমবার স্টেজে পারফর্ম করেন। সঙ্গীতকেই নিজের ক্যারিয়ার করে তুলতে চেয়েছিলেন বরাবর। ‘রাজা রানি’ ছবিতে ‘যব আন্ধেরা হোতা হ্যায়’ গান গেয়ে অত্যন্ত প্রশংসিত হন।
১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া’ গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতিকে বিবাহ করেন কেকে। সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের পুত্র নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ তাঁর অ্যালবাম ‘হামসফর’-এ একটি গান গেয়েছেন। তাঁর এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। এ.আর রহমানের হিট গান ‘কাল্লুরি সালে’তে প্রথমবার গান গান কেকে।
জানা যায়, বলিউডে কাজ করার আগে বেশ কয়েক মাস সেলসম্যানের চাকরিও করেন তিনি। পরিবারের আর্থিক অবণতির জন্য এই চাকরি করেন তিনি। যদিও মাস ছয়েক সেলসম্যানের চাকরি করার পর তিনি পাড়ি দেন মুম্বাই। সেখানে প্রথমে বেশ কিছুটা সময় প্লেব্যাকের সুযোগ পাননি কে কে। সেই সময়টা প্রায় সাড়ে তিন হাজার জিঙ্গলসে গেয়েছিলেন।
কে কে-র প্রথম বলিউড ব্রেক ছিল ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির ‘তড়প তড়প’ গানটি। এই গানের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বলাই বাহুল্য। গান এবং ছবির সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কে কে। এরপর একের পর এক ছবিতে হিট গান উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
ইমরান হাশমি তাঁর গাওয়া প্রচুর গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন। বলা হয় ইমরান হাশমি আর কেকে একে অপরের পরিপূরক। স্টেজ পারফরম্যান্সেও দারুণ জনপ্রিয় কে কে। তাই তো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কে কে-র পারফরম্যান্স। সেই স্টেজ পারফরম্যান্স শেষ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় এই গায়ক।