দিনাজপুর সংবাদাতাঃ আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে পার্বতীপুর থেকে যাওয়া পুনঃপরিদর্শনকারী দলের পূর্বে সকাল ৮টার দিকে সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ এ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত তালিকা নির্ণয় পূর্বক ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের পরিদর্শনকারী দলের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল, উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম, মডেল থানার ওসি ইমাম জাফর। অপরদিকে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল মোমেনিন মোমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারঃ) আমজাদ হোসেন ও হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক ভয়াবহ টর্নেডোয় পার্বতীপুর উপজেলার শুধু একটি ইউনিয়নেই প্রায় ৭’শ এবং পুরো উপজেলায় প্রায় দুই শহস্রাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ীঘর ফসলফসলাদি, গবাদিপশু ও গাছপালা মাটিতে মিশে গেছে। এক কিশোরীর প্রাণহানি ঘটেছে। প্রায় ৫ শতাধিক গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি বাতাসে উড়ে বিলীন হয়ে গেছে। পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়ন।
এসময় সেমি পাকাঘরের দেওয়াল ধ্বসে মধ্যপাড়া গুড়গুড়ি দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ হারান। জানা গেছে, প্রায় সত্তরোর্দ্ধ পিতার দেখভালের একমাত্র কন্যা ছিলো সে। সাত মাস বয়সে তার মা মারা গেলে পিতা শওকত আলী তাকে বুকে ধরে লালনপালন করেন। সর্বনাশা টর্নেডোর তান্ডবলীলায় বিদ্যুতের তার বিছিন্ন হয়ে যায়। গ্রামের তারাবি পড়া লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। গ্রাম গুলোর লোকজন যে যার মতো করে প্রাণ বাঁচায়।
রাতেই খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা ও হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ একটি স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন। রাতে প্রায় ১৫’শ রোজাদার ব্যক্তির সেহ্রেীর ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে নিহত স্কুল কন্যার পরিবারের হাতে পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসন নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।