কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইটভাটার বিষাক্ত তাপে প্রায় ১৩০ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পুড়ে গেছে। এতে করে কৃষকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্যা দহবন্দ বিলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে ওই বিলে অবস্থিত এইচ আর ইটভাটার কর্তৃপক্ষ এ বছর ইট তৈরির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
ইট পোড়া বন্ধ করে ভাটার চিমনি দিয়ে বিষাক্ত তাপ ছেড়ে দেওয়ার ফলে দক্ষিণ সাদুল্যা, দহবন্দ, আকাই বিলসহ প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বোরো ধানক্ষেত পুড়ে যায়।
শুধু ধানক্ষেত নয়, প্রভাব পড়ে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের ওপর। ঝরে পড়ে গাছের কচি পাতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটা থেকে যতদূর চোখ যায় বিলের সব জমির ধান অনেকটাই সাদা ও হলুদ রং ধারণ করেছে। ফলে উঠতি ফসলের এমন অবস্থা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। ভাটার তাপে একই অবস্থা হয়েছে উপজেলার গুনাইগাছ, দলদলিয়া ও নিরাশীর বিলের ধান ক্ষেতেও।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু তাহের, নূরুন্নবী মিয়া, মকমল মিয়া, আইয়ুব আলী, মোসলেম উদ্দিন, নাজমুল ইসলামসহ অনেকে জানান, দহবন্দ বিলে প্রায় ১৩০ থেকে ১৫০ একর জমির বোরো ধান সম্পূর্ণ পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা অনেক কষ্ট করে আবাদ করেছি, একরাতে সেটা পুড়ে গেল। দ্রুত পুড়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণসহ পরবর্তীতে যাতে এমনটা না ঘটে তার স্থায়ী সমাধান করা হোক।
ভাটার মালিক হাফিজুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও পরে আর তিনি কোনো সাড়া দেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইউএনও মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কৃষকদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ‘ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের মোবাইল কোর্ট চলমান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বিপুল কুমার বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘