নীলফামারীর জলঢাকায় কাপড় ব্যবসায়ী শাহ্ মো. আরিফ চৌধুরীকে কুপিয়ে গুরুতর আহতের আট দিন পর ক্লুলেস ওই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মূলত ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে জলঢাকা শহরের উপজেলা সড়কের সবুজ সার ঘরের সামনে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আরিফ চৌধুরীর পথ রোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়দের সংবাদে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ২৬ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ১২৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি ওই হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর আরিফ চৌধুরীর ভাই আবু বক্কর চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ এসএম মোক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ জানুয়ারি পৌরসভার মাথাভাঙ্গা গ্রামের মো. নাহিদ হাসান ওরফে মিঠুকে (২২) গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে, একইদিন রাতে পৌরসভার মুদিপাড়ার বিশাল রায় (২১) ও উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের মন্থেরডাঙ্গা গ্রামের মো. রেজওয়ান ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
রেজওয়ান ইসলামের কাছ থেকে ওই ঘটনায় ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়াল, ছোরা, চাপাতি, ও একটি চাইনিজ চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা শাহ্ মো. আরিফ চৌধুরীকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই তিনজনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে ক্লুলেজ ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হলো। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
সাম্প্রতিক কমেন্ট