দিনাজপুর সংবাদাতাঃ ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক বলেছেন মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ন্যায় বিচার পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করা। রিমান্ডে নেয়া, আসামীদের বিষয় সঠিক নিয়ম কানুন মানা হয় কিনা এ ব্যাপারে আমাদের সন্দেহ আছে।
বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ দিনাজপুর এর সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ লিগ্যার এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) দিনাজপুর ইউনিট আয়োজিত গ্রেফতার ও রিমান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও করণীয় শীর্ষক এডভোকেসী সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্লাস্ট এডভোকেসী বিভাগের উপ-পরিচালক মাহাবুবা আক্তার।
গ্রেফতার ও রিমান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও করণীয় বিষয় তুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে আইনের ধারাগুলো উপস্থাপনা করেন ব্লাস্টের এডভোকেসী এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপদেষ্টা ও সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট মোৎ তাজুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, পুলিশ পরিদর্শক মোকলেসুর রহমান, এ্যাড. একরামুল আমিন, এাড. ইসমতুল্লাহ হেল আযম, এ্যাড. রফিকুল আমিন প্রমুখ।
সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিটের সমন্বয়কারী এ্যাড. সিরাজুম মুনিরা। সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ বলেন সকল নাগরিকের সুবিচার পাওয়ার অধিকার আছে। বর্তমানে ৫৪ ধারা গ্রেফতার অনেক কমে এসেছে।
আসামী যেন রিমন্ডে থাকা অবস্থা নিরাপত্তায় থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পুলিশ প্রশাসন ও বিচারকবৃন্দ এই আইনগুলো মেনে চলতে পারলে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারবো। উক্ত এডভোকেসী সভায় জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী, ব্লাস্টের প্যানেল ল’য়ার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক কমেন্ট