প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মেক্সিকো সীমান্তে আড়াইশ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক্সাস সরকার।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেনাদের সীমান্তে পাঠান হবে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ডের এক মুখপাত্র।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় চার হাজার সেনা মোতায়েনের পারিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স।
বিবিসি জানায়, আগামী সপ্তাহে অ্যারিজোনা সরকারও মেক্সিকো সীমান্তে দেড়শ সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষায় চার হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
কঠোর অভিবাসন বিরোধী নীতির অংশ হিসেবে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে ‘ক্যাচ অ্যান্ড রিলিজ’ ব্যবস্থারও অবসান চান।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।
ট্রাম্প চান, মেক্সিকো থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখা হোক।
কিভাবে এ কাজ করা হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে বলেছেন তিনি।
টুইটারে গত সাত দিনে এ বিষয়ে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ডেমক্রেটিকদের বিরুদ্ধে তিনি ‘সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে মাদক ও অপরাধকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়ার’ অভিযোগ তুলেছেন।
টুইটারে তিনি বলেন, “অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়নে রিপাবলিকান নেতাদের এখনই সম্মিলিত প্রচেষ্টা করা উচিত।”
তিনি মেক্সিকো সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তারা তাদের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারে তবে নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগরিমেন্ট (নাফটা) হুমকির মুখে পড়বে।
তবে ট্রাম্পই প্রথম নন, বরং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১০ সালে সীমান্ত প্রহরার জন্য ১২০০ সেনা মোতায়েন করেছিলেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও ছয় হাজার সেনা মোতায়েন করেন।
উভয় সেনাদলই প্রায় এক বছর সীমান্ত পাহারা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক কমেন্ট