চিরিরবন্দরে গৃহবধুকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে স্বামী ও শ্বাশুরী। প্রতিবেশিগণ আহত অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আফরশাহ পাড়ায়।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ২ পুত্র সন্তানের জননী আহত কারিমা বেগম (২৫) জানান, বাড়িতে খড়ি না থাকায় ঘটনার দিন দুপুরে স্বামীকে ধান গাছের জমা করে রাখা নারা আনতে বলায় উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আফরশাহ পাড়ার অহেদ আলীর ছেলে স্বামী শাহজাহান আলী ও শ্বাশুরী নুরজাহান বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হাত-পা বেধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং গলায় দড়ি বেধে চৌকির পার্শ্বে রেখে দেয়।
প্রতিবেশিগণ একপর্যায়ে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে দড়ি খুলে দিলে স্বামী ও শ্বাশুরী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর প্রতিবেশিরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই নির্যাতিতা গৃহবধুর ভাই ফারুক জানায়, আমার বাড়ি বিরল উপজেলার বাজনাহার গ্রামে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত এসে চিরিরবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মর্তুজা আল মামুন জানান, ওই রোগী শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এখন সুস্থ্য, তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে সময় লাগবে। থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হারেসুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে, প্রমাণিত হলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেশি কয়েকজন জানান, ওই গৃহবধুর স্বামী শাহজাহান আলী ও শ্বাশুরী নুরজাহান বেগম প্রায়ই ওই মহিলাকে নির্যাতন করে থাকে। তবে শ্বশুর অহেদ আলী ভাল। সেদিন আমরা এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় শাহজাহান আলীর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি ও চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক কমেন্ট