ভূরুঙ্গামারী কলেজ মোড় থেকে ডিগ্রী কলেজের সামন দিয়ে যে পাঁকা রাস্তাটি জেলা সদর যাতায়াতের মূল সড়কের সংযোগ আছে; সে রাস্তায় যাতায়াতের বিঘœ ঘটানো হয়েছে। ঐ রাস্তা দিয়ে যাত্রীসহ কোন পরিবহন চলাচল করতে পারে না। কারণ কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তার উপর গর্ত করে গাছের গুড়ি গেড়ে দিয়ে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মটর শ্রমিকদের সাথে অটোরিক্সা চালকদের দ্বন্দ্বের কারণে ঐ রাস্তা দিয়ে অটোরিক্সা চলাচল করতো।
এইচ এস সি ও ডিগ্রী পরীক্ষার সময় ঐ রাস্তায় বাঁশ বেঁধে যাত্রী চলাচল বন্ধ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে রহস্যজনক কারণে হবু চন্দ্র রাজার মত সরকারী রাস্তার উপর গাছের গুড়ি গেড়ে যাত্রীসহ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
জনসাধারনের প্রশ্ন এভাবে কি সরকারী রাস্তা বন্ধ করা যায়? রাস্তা বন্ধ করায় কলেজের কি উপকার হয়েছে? আর জনগনের কতটুকু ক্ষতি সাধন হয়েছে!
উল্লেখ্য, এ রাস্তায় অটো, অটো রিক্সা চলাচল করতে না পেরে জামতলা থেকে কলেজের উত্তর প্রান্ত গিয়ে বিকল্প রাস্তার অলিগলির সরু রাস্তা দিয়ে জয়মনিরহাট, আন্ধারীঝাড়, রায়গঞ্জ, নাগেশ্বরী, এমনকি কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রীসহ অটো উল্টে হরহামেশায় মারাত্মক দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। বর্ষা মৌসুমে এক মহিলা সরু রাস্তায় অটো রিক্সা দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুসহ খালে পড়ে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছিল।
এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল চৌধুরীর সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এলাকার সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, পরীক্ষার সময় যেকোন ভাবে সাময়িক রাস্তা বন্ধ করা যায় কিন্তু স্থায়ীভাবে সরকারী রাস্তা এভাবে বন্ধ করার কারো অধিকার নেই।
সাম্প্রতিক কমেন্ট