চীন তিব্বতের মালভূমিতে তাজা গুলির সামরিক মহড়া চালিয়েছে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের উল্টো দিকে অঞ্চলটি অবস্থিত এবং অরুণাচলকে চীন নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। ভারতীয় প্রদেশটিকে চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ হিসেবে অভিহিত করে।
সিকিমের ডোকালাম অঞ্চলে যখন চীন ও ভারতের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তখন এ মহড়া চালানো হলো। দিল্লিকে চাপে রাখতে এমন মহড়া চালানো হয়েছে বলে ধারণা ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় পর্যবেক্ষকরা।
মহড়ায় অংশ নিয়েছে চীনা গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএর তিব্বত সামরিক কমান্ডের একটি ব্রিগেড। মহড়ায় অংশ গ্রহণকারী ব্রিগেডের সেনা সংখ্যা চার থেকে সাত হাজার ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মহড়ায় চীনা সেনারা কাঁধ থেকে ছোড়া অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করেছে। কল্পিত শত্রু অবস্থানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চালানোর দৃশ্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। সাগরপৃষ্ট থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় এ মহড়া চালানো হয়েছে।
মহড়ায় ১২টি লক্ষ্য ছিল এবং এর মধ্য দিয়ে চীনা বাহিনীর সক্ষমতা ফুটে উঠেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় চ্যানেল সিসিটিভির ধারাভাষ্যকার জানিয়েছেন।
টানা ১১ ঘণ্টার মহড়াকে প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে উল্লেখ করেছে চীন। মহড়ার মাধ্যমে চীনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে খতিয়ে দেখা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রাডার কল্পিত শত্রু অবস্থান ও শত্রু বিমান চিহ্নিত করছে। মহড়ায় নিয়োজিত চীনা সেনারা বিমান বিধ্বংসী কামান দিয়ে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। অবশ্য, মহড়ায় আক্রমণের কাজে ব্যবহারে সক্ষম বিমান শক্তি মোতায়েনের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে সোমবারে চালানো চীনা মহড়াকে ভারতের জন্য মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির তৎপরতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মহড়ার মাধ্যমে ভারতের প্রতি বেশ কয়েকটি বার্তা দেয়া হয়েছে বলে ধারণা ব্যক্ত করেছেন দেশটির পর্যবেক্ষকরা। তারা মনে করেন, অরুণাচল সীমান্তেও হয়ত টানাপড়েন সৃষ্টি করবে চীন। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ এ অঞ্চলেই হয়েছিল।
সাম্প্রতিক কমেন্ট